রাজধানীতে পুলিশ পরিচয়ে বাসায় ঢুকে পরিবারের সদস্যদের আটকে লুটপাট
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশ পরিচয়ে বাসায় প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের এক রুমে বন্দি করে বাসার সব মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় একটি চক্র।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টায় মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিং এ ব্লকের ৮ নম্বর রোডে ঘটে এই দুর্ধর্ষ ঘটনা।
এ ঘটনায় এক নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- মাকসুদা আক্তার মুক্তা (৪৫) ও তার দুই ছেলে সাইফুল হাসান (২০), সিফাত হাসান (১৮)।
স্থানীয়রা জানান, সকালে মাস্ক পড়ে হাতে অস্ত্রশস্ত্রসহ একদল লোক কয়েকটি ট্রাক নিয়ে আসে। এরপর ওপরে থেকে টিভি, ফ্রিজ, খাট, আলমারি ও সব আসবাবপত্র ট্রাকে করে নিয়ে যায়। ওই সময় বাসার ওপরে একটি রুম থেকে চিৎকার শুনে আমরা দৌঁড়ে গিয়ে দেখি দুই ছেলে ও মাকে একটি রুমে আটকে রেখে বাসার সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে। আমরা পুলিশের সহায়তায় তাদের তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করি। তবে, যারা এসব লুটপাট করেছে তারা স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে ঢুকে লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী জড়িত। এদের মধ্যে রেজাউল করিম সুজন, রাইসুল ইসলাম আসাদ, রাসেদা বেগম, সবুজ, বাবু ওরফে মুরগী বাবু, ইয়াসিন আরাফাত, শফিক, মোহন, সজিব বাবুর্চি, তরিকসহ বেশ কয়েকজন এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা নিশ্চিত করেছেন বাসিন্দারা। তবে, তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মাকসুদা আক্তার মুক্তা বলেন, সকাল ৮টার দিকে আমরা সবাই ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ ১০-১৫ জন লোক মাস্ক পড়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাসার দরজা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে। ভেতরে প্রবেশ করেই আমার ছোট ছেলে সিফাত ও বড় ছেলে হাসানকে মারধর করে। আমাদের মারধর করে বাসার একটা রুমে তালাবদ্ধ করে আটকে রেখে। এরপর বাসার ফ্রিজ, খাট, ৪ ভরি স্বর্ন, নগদ ৪ লাখ টাকাসহ সব লুটপাট করে ট্রাকে করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিয়ারসহ খুলে নিয়ে যায়। আমরা কোন উপায় না পেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ বলেন, পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাটের বিষয়ে আমাদের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ আসলে আমরা তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে আমরা দ্রুত কাজ করছি।

