গত ১৫ বছরে এদেশের কবিরা স্তবকের ভূমিকা পালন করেছেন: আবদুল হাই শিকদার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতিসত্তার কবি আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, গত ১৫ বছরের এদেশের কবিরা স্তবকের ভূমিকা পালন করেছেন। তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করেছেন। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতি গঠনে কবি ও লেখকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভাটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন সাবেক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন এবং কিচিরমিচির শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি সব্যসাচী কবি মৌসুমী মৌ।
কবি, গীতিকার ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রথাবিরোধী দার্শনিক কবি ও বুদ্ধিজীবী কুমার সুশান্ত সরকার।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, কবি ও চিন্তক মির্জা কামাল, এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমা বেগম নাজু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক নিজামউদ্দিন দরবেশ ও মেহেদী হাসান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা আবুল কালাম আজাদ, রাজু আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল হাই শিকদার বলেন, বিগত ১৫ বছর এদেশের কবিরা স্তবকের ভূমিকা পালন করেছেন। তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে। এ ধরনের কবিদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আমিরুল ইসলাম কাগজী বলেন, সমাজের মানুষের কিছু করার মানসিকতা কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেন কবি। সেই কবিতা মানুষকে পথ দেখায়।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখন বলা হচ্ছে রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। কিন্তু পাঠকরা ভালো-মন্দ লেখা বিচারে সমস্যায় পড়ছেন। তাই লেখকদের রাষ্ট্র বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে হবে। কবিরা জাতির ভবিষ্যৎ দেখতে পান— সুতরাং কবি ও লেখকদের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
