দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি থেকে ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
শিক্ষকরা বলেন, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওর জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করে। ২,৭৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করে, যার মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১,৭৭২টি প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনার জন্য প্রস্তুত করা হয়। বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করা হলেও প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ধীরগতি সম্পন্ন। ইতোপূর্বে স্বীকৃতি প্রাপ্ত ৫৭টি বিদ্যালয় এবং অনলাইনে আবেদন করা ১,৭৭২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বারবার আন্দোলন চালালেও কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র মৌখিক আশ্বাসই দিয়েছে।
তাদের দাবি, মানবেতর জীবনযাপনকারী শিক্ষকরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন, কিন্তু সরকার তাদের দাবির প্রতি অবহেলা করছে। তাই অবিলম্বে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিও ভুক্তি নিশ্চিত করা।
২. সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী বান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করা।
৩. বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি ৩,০০০ টাকা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি মিডডে মিল, উচ্চ মানের শিক্ষাসামগ্রী, খেলাধুলার সরঞ্জাম ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা।
৪. ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
৫. চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইলিয়াস রাজ, মুখ্য সমন্বয়ক গাউসুল আজম শীমু এবং সমন্বয়ক মোছা. রিমা খাতুন।

