শিশু মানেই তার সঙ্গে ইচ্ছেখুশি ব্যবহার করা যায়, তা কিন্তু নয়। মনোবিদরা বলেন, ছোটদের সঙ্গে সবচেয়ে সতর্ক এবং সাবধানী হয়ে কথা বলা উচিত। কারণ শিশুরমন সবচেয়ে স্পর্শকাতর। তাই কোন কথায় বা কোন আচরণে তাদের মনে কী প্রভাব পড়ছে, সেটা বাইরে থেকে বোঝা মুশকিল।

সে কারণেই ছোটদের কাজ এবং কথাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন মনোবিদরা। অনেক সময় বড়দের কোনও কথায় এবং কাজ শিশুর বিশ্বাসভঙ্গের কারণ হতে পারে। তাই অভিভাবকদের কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।

১. শিশুদের বয়স কম হওয়ায় কাজের দক্ষতা কম অভিজ্ঞতাও কম। ছোটখাটো, অতি সাধারণ কাজ শিশুরা ঠিকভাবে করতে পারে না। এজন্য প্রকাশ্যে ভুলেও তাদের সমালোচনা করা ঠিক না। এমনটি করলে বাবা-মার প্রতি তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। 

২. ছোটরা ভীষণ ভাবে মনোযোগ চায়। ছোটরা বুঝতে পারে কে তাদের গুরুত্ব দিচ্ছে, আর কে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই শিশুরা যখন কথা বলছে বা নতুন কিছু করছে, তখন তাদের প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। সেই সময় অন্য কোনও কাজ করবেন না। তাছাড়া শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় তার কার্যকলাপ, কর্মকাণ্ডের সাক্ষী থাকা হলো এক একটি অভিজ্ঞতা।

৩. তাদেরকে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। অনেকেরই মনে হতে পারে, শিশুকে ফাঁকি দেওয়া সহজ। অথচ সেটাই সবচেয়ে কঠিন। শিশুদের কোনও বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে, ভাবা উচিত। আদৌ সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবেন কিনা। সে বিষয়ে নিশ্চিত না হলে কোনও আশা দেখানো উচিত নয়। বেড়াতে নিয়ে যাব বলে যদি শিশুকে পড়তে বসান বা অন্য কোনও কাজে যুক্ত করেন, কাজ শেষের পর যদি কথা না রাখেন, তাহলে শিশুর মনে প্রভাব পড়তে পারে। বাবা-মায়ের প্রতি তার বিরুপ মনোভাব তৈরি হতে পারে।