পাবনা-১ সংসদীয় আসনে বেড়া উপজেলাকে পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পাবনার বেড়া উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। অবরোধে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেড়ার সিএন্ডবি মোড়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করা হয় এবং চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে নিজামীপুত্র নাজিবুর রহমান মোমেন ও জামায়াতের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।

অবরোধকারীরা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পাবনা-১ আসনকে বিভক্ত করা হয়েছে। বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে; কিন্তু বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কিছু সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত।

অবরোধ কর্মসূচিতে তারা স্লোগান দেন- ‘সীমানা বদল নয়, জনগণের অধিকার চাই’, ‘পাবনা-১ এর সীমানা কারো একক সম্পদ নয়’; ‘জনগণের কণ্ঠস্বর, দমিয়ে রাখা যাবে না’; ‘গণদাবি অমান্য হলে গণআন্দোলন’; ‘নির্বাচন কমিশনের অবৈধ গেজেট, মানি না মানব না’; ‘বেড়া-সাঁথিয়ার বৈষম্য মানি না, মানবো না’ ইত্যাদি।

অবরোধে অংশ নেন- বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বিপু, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আকশেদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইন উদ্দিন খাজাসহ সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ।

প্রসঙ্গত, সাঁথিয়া ও বেড়া পৌরসভাসহ বেড়ার ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে ছিল পাবনা-১ আসন এবং সুজানগর উপজেলা ও বেড়া উপজেলার বাঁকি ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে ছিল পাবনা-২ আসন। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে পাবনা-১ এবং বেড়া ও সুজানগর উপজেলা নিয়ে পাবনা-২ আসন ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে। এই বিভক্তির জন্য জামায়াত এবং সাঁথিয়ার অধিবাসী জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক আমির নিজামীপুত্র নাজিবুর রহমান মোমেনকে দায়ী করেন।

বেড়া মডেল থানার ওসি একেএম হাবিবুল ইসলাম জানান, সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ করলেও পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে এবং স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।