বড়লেখা উপজেলার বিওসি কেছরিগুল এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে চার চোর মিলে তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরি করে পালানোর সময় সোমবার ভোররাতে দুই চোরকে আটক করেছেন স্থানীয় জনতা। এ সময় গণপিটুনিতে সুমন আহমদ নামে (২৬) একজনের মৃত্যু হয়। অপরজন জাহাঙ্গীর আলম (৩০) গুরুতর আহত হয়। অন্য দুই চোর পালিয়ে রক্ষা পায়।

নিহত সুমন আহমদ সিলেট সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের হারিছ আলীর ছেলে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তর জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

আহত জাহাঙ্গীর আলম মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার সুড়িখাল গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার ভোররাতে অজ্ঞাত চোরেরা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিওসি কেছরিগুল গ্রামের স্বপন আহমদ খানের অটোরিকশা (সিএনজি) গ্যারেজ থেকে ৫টি সিএনজির হতে ৩টি সিএনজি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্বপন আহমদ টের পেয়ে ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।

তার চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ধাওয়া করে ডিমাই ওসমানী বাজার এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হন। এ সময় অপর দুই চোর পালিয়ে যায়।

উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে মুমূর্ষু দুইজনকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমন আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।

বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।