Logo
Logo
×

সারাদেশ

শিশুকে বেধড়ক মারধর করে শিকলে বেঁধে রাখার অভিযোগ

Icon

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম

শিশুকে বেধড়ক মারধর করে শিকলে বেঁধে রাখার অভিযোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী জাকারিয়া হাওলাদারকে (১৪) বেধড়ক পেটানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে পায়ে শিকল দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেঁধে রাখা হয়েছে।

মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আরামগঞ্জ গ্রামের আরামগঞ্জ হাজী তোজাম্বর আলী খান নুরানি হাফেজিয়া বহুমুখী মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা সিদ্দিক হাওলাদার কলাপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে তার ছেলে ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে আসছে। ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসার পেছনে দুষ্টুমির ছলে ১০ বছর বয়সি কন্যাশিশুকে ধাওয়া করে। এ কারণে শিক্ষক নজরুল ইসলাম জাকারিয়াকে জোড়া বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করে শিকলে বেঁধে রাখে। তার পিঠে বেত্রাঘাতের ক্ষতচিহ্ন ফুটে আছে। পরদিন সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ছেলেকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার ছেলে মানসিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক ক্বারি মো. নজরুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্র মাদ্রাসার অন্য ছাত্রদের মারধর করত। শিশুকন্যাদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার মা-বাবাকে অনেকবার বলা হয়েছে। সর্বশেষ এক কন্যাশিশুকে অশ্লীলভাবে উক্তি করে। অন্য শিশুরা প্রতিবাদ করায় তাদেরও জাকারিয়া মারধর করে। এ কারণে তাকে মাদ্রাসায় নিয়ে শাসন করা হয়েছে। কয়েকটা পিটান দেওয়া হয়েছে। তাকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য একটা কক্ষে আলাদা করে রাখা হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।

কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম