উলিপুরে নকল সার কারখানায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুড়িগ্রামের উলিপুরে নকল সার তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে সার জব্দ করেছে প্রশাসন। ওই কারখানার মালিককে এক লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে পৌরসভার নাড়িকেলরাড়ি খেয়ারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চক্রটি বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে তাদের নিজস্ব তৈরি নকল সার প্যাকেজিং করে উলিপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে সরবরাহ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে একটি সার কোম্পানির প্রতিনিধি এক দোকানে তাদেরসহ বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কজাত সার দেখতে পান। দোকানি তাকে কোম্পানির মূল্য থেকে অনেক কম দামে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে সারের প্যাকেট কিনতে পারেন বলে জানান। এ সময় ওই প্রতিনিধির বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। তিনি নকল সার কারখানার অনুসন্ধান করতে থাকেন। পৌরসভার নাড়িকেলবাড়ি খেয়ারপাড় এলাকার আছির উদ্দিনের ছেলে সিদ্দিকুর রহমানের (৪০) বাড়িতে গিয়ে নকল সার তৈরির কারখানা ও বিভিন্ন ধরনের নকল সারসহ একাধিক কোম্পানির মোড়কজাত প্যাকেট দেখতে পান। এ ঘটনা তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগকে অবগত করলে কৃষি কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে যান।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়- সিদ্দিকুর রহমান জিপসাম, ম্যাগনোশিয়াম, ডিএপি ও ডলো চুন মিশিয়ে নকল সার তৈরি করতেন। এরপর সেগুলো মনোভিট, সালফাভিট, গ্রিনভিট, থট, গ্রিনার, হাদিয়া ভিট ও সিলভা গোল্ড কোম্পানির প্যাকেটে ভরিয়ে বাজার জাত করতেন। এসব নকল সার কৃষকেরা ক্রয় করে তা জমিতে ব্যবহার করে প্রতারিত হন।
সার কোম্পানির প্রতিনিধি আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের কোম্পানিসহ বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য মোড়কজাত করে স্বল্পমূল্যে বাজারজাত করতেন। ওই সার কৃষকদের কোনো উপকারে আসত না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন ব্যান্ডের অপব্যবহার ও ভেজাল মিশ্রণে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ১৬ (১) ধারা লঙ্ঘন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই প্রতারকের ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় সবার উপস্থিতিতে সার কারখানার সব জিনিসপত্র জব্দ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নয়ন কুমার সাহা জানান, ওই প্রতারকের ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় তিনি জরিমানার অর্থ প্রদান করায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সব উপকরণ জব্দ করে ধ্বংস করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
