লালপুরে অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ ডাকঘর, অনলাইন সেবাও বন্ধ
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর ডাকঘর দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ ভবনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়া ঠেকাতে টানানো হয়েছে পলিথিন। এতে ডাক বিভাগের কর্মীরা অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনলাইন সেবার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় অর্থ লেনদেনসহ নানা কার্যক্রম ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী সেবা থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।
বর্তমানে ডাকঘরে একজন পোস্টমাস্টার, দুইজন ডাকপিয়ন, একজন ক্লার্ক ও দুইজন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীর মাধ্যমে কার্যক্রম কোনোভাবে চালু রয়েছে।
এখানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে মানি অর্ডার ও ই-মানি অর্ডার থাকলেও অনলাইন ট্রান্জেকশন, ডাকঘর ব্যাংকিংসহ আধুনিক সেবা বন্ধ রয়েছে। সীমিত আকারে চলছে জিইপি (গ্রান্টেড এক্সপ্রেস পোস্ট) সেবা।
সরেজমিন দেখা যায়, দেড় বছর আগে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে থেমে গেছে। ভবনের পেছনে তিনটি কলামের বেইজ ঢালাই দিয়ে রড খাঁড়া করার পর থেকেই কাজ বন্ধ।
চারপাশে লতাপাতা ছড়িয়ে পড়েছে, রডে ধরেছে মরিচা। ডাকঘর সংলগ্ন পোস্টমাস্টারের বাসভবনের দরজা-জানালা ভেঙে পড়েছে, পেছনের দরজা ইট দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তৎকালীন সরকারের আমলে চাঁদাবাজির চাপ সামলাতে না পেরে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছেন। তবে ঠিকাদারের নাম বা যোগাযোগের তথ্য কেউই জানেন না।
ডাকঘরের পোস্টমাস্টার ইসমাইল হোসেন জানান, ভবনের করুণ অবস্থা সম্পর্কে তারা বারবার জানিয়েছেন। গত জুনে পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী) ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. নাইমুর রহমান পরিদর্শনে এসে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বর্তমানে ডাকঘরের অন্তত ১৮টি সেবা চালু থাকলেও ভবনের দুরবস্থার কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গোপালপুর ডাকঘরের এ পরিস্থিতি এক প্রকার অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি। তারা দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ শেষ করে আধুনিক অনলাইন সেবা চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
