মুলাদীতে রোগীর মৃত্যু, হাসপাতালে হামলা ভাঙচুর
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বরিশালের মুলাদীতে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন স্বজনরা। এ সময় হাসপাতালের একমাত্র অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ইসিজি যন্ত্র পালস অক্সিমিটার ভেঙে ফেলেন তারা। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমান। হামলাকারীরা হাসপাতালের কর্মচারী মো. মিরাজকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
উপজেলার পৌরসভার তেরচর গ্রামের মফসের খন্দকার (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার ছেলে আবু হানিফ খন্দকার লোকজন নিয়ে এ হামলা চালায়।
হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শাহারাজ হায়াত জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মফসের খন্দকার নামে এক রোগীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনেরা।
এ সময় রোগীর পালস না পাওয়ায় তার ইসিজি করার জন্য স্টাফদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ইসিজি যন্ত্র নিয়ে রোগীর ইসিজি করার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। মফসের খন্দকারের মৃত্যুর সংবাদ শুনেই তার ছেলে আবু হানিফ খন্দকার, ইব্রাহিম খন্দকার ও তাদের লোকজন ভাঙচুর শুরু করেন।
তারা ইসিজি যন্ত্র, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পালস অক্সিমিটারসহ আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে। এ সময় তাদের বাধা দিলে কর্মচারী মিরাজকে মারধর করেন তারা।
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমান বলেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর যন্ত্র সহজলভ্য নয়। হামলাকারীরা না জেনে বুঝে হাসপাতালের ৩টি যন্ত্র, আসবাবপত্র ভেঙে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন। এছাড়া কর্মচারীকে মারধর ও চিকিৎসককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন তারা। এ ঘটনায় মুলাদী থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মফসের খন্দকারের ছেলে ইব্রাহিম খন্দকার বলেন, মঙ্গলবার সকালে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন তারা। সেখানে ২০-২৫ মিনিট পর চিকিৎসক দেখতে আসেন এবং চিকিৎসাপত্র দিয়ে ওষুধ কিনতে বলেন। ওষুধ নেওয়ার পরে জানানো হয় রোগী মারা গেছে। চিকিৎসকের অবহেলায় বাবার মৃত্যু হওয়ায় তার ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে দুটি যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করেছে।
মুলাদী থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
