Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীর মামার মারধরে আহত ১২, পরীক্ষা বর্জন

Icon

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম

স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীর মামার মারধরে আহত ১২, পরীক্ষা বর্জন

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাধুহাটী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঢুকে এক শিক্ষার্থীর মামার মারধরে ১২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা চলমান প্রাক-প্রাথমিক পরীক্ষা বর্জন করেছে।

হামলায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত শিক্ষার্থীদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী তামিম আহমদের মা হাছনা বেগম মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোমবার বিকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুরমুখ ইউনিয়নের সাধুহাটি আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হানিফ মিয়া ও এহসানুল হক তানভীরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ও উপস্থিত কয়েকজন অভিভাবক মীমাংসা করে দেন। পরবর্তীতে এহসানুল হক তানভীর তার মামা কুয়েত প্রবাসী এরশাদ মিয়া ও তার মাকে ফোন করে বলে তার সহপাঠীরা তাকে মেরে দরজা বন্ধ করে রেখেছে।

ভাগ্নের কাছ থেকে মারধরের খবর পেয়ে এরশাদ মিয়া রায়হান নামে একজন যুবদল নেতাকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মারধর শুরু করে। এরশাদের অতর্কিত হামলায় তামিম আহমেদ ও হানিফ মিয়াসহ ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হামলায় সহায়তাকারী রায়হান সদর উপজেলার মনুরমুখ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি। তিনি বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের আগলে রেখেছি। হামলার ঘটনায় এরশাদ মিয়াও অনুতপ্ত। এ ঘটনা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর মা হাছনা বেগম মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত এরশাদ মিয়া পূর্ব সাধুহাটী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাহিনের ভাই।

অভিযুক্ত এরশাদ মিয়া বলেন, কিছু দিন পূর্বে আমার ভাগ্নে তানভীরের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীর ঝামেলা হলে আগামীতে এ রকম হবে না বলে সাদাকাগজে স্বাক্ষর দেয়। সোমবারের ঘটনা শুনে আমি বিদ্যালয়ে যাই। তবে কাউকে মারধর করিনি। এ বিষয়টি মীমাংসা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থী হানিফের চাচা সুমন আহমদ বলেন, পরীক্ষার আগে স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে তারা পরীক্ষা দিতে যায়, পরীক্ষা দিয়ে বের হলে ছাত্রের মামা পরিচয় দিয়ে এরশাদ এলোপাতাড়ি ১৫-২০ জন ছাত্রকে মারধর করে। আমার ভাতিজা হানিফ গুরুতর আহত হয়। আরেক শিক্ষার্থী সোহাগের ৫টা সেলাই লেগেছে।

এ বিষয়ে সাধুহাটি আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিনাশ চন্দ্র দে বলেন, হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এলাকার মুরব্বিরা বলেছেন আগামী শনিবার বিষয়টি দেখে দেবেন। যিনি মেরেছেন তার ভাগ্নে এই স্কুলে পড়ে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুব বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম