Logo
Logo
×

সারাদেশ

যমুনার চরে কাশফুল টানছে পর্যটকদের

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম

যমুনার চরে কাশফুল টানছে পর্যটকদের

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চলে ফোটা কাশফুল প্রাকৃতিক শোভা বৃদ্ধি করেছে। পর্যটকরা কাশফুলের ছোঁয়ায় আকৃষ্ট হয়ে ছুটে আসছেন। ফুলের সঙ্গে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করতে বিপুলসংখ্যক মানুষ ভিড় করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি যমুনা নদীবেষ্টিত ও তীরবর্তী। তাই এ উপজেলার বিশালাকার চর রয়েছে। এসব চরাভূমির উপরে ফুটেছে সারি সারি কাশফুল। এসব ফুল সৌন্দর্য ছাড়াচ্ছে। আকৃষ্ট করছে প্রকৃতিপ্রেমিদের।

চরাঞ্চলের বিশালাকার কাশফুলের বাগান উপভোগ করতে সেখানে নৌকায় যেতে হয়। তবে উপজেলা সদরের কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ, দীঘলকান্দি প্রেম যমুনার ঘাট এবং মথুরাপাড়া গ্রোয়েন বাঁধের সামনে জেগে ওঠা চরেও ফুটেছে কাশফুল। এসব পয়েন্টে হেঁটেই যাওয়া যায়। তাই বিপুলসংখ্যক পর্যটক কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ ও নিজেকে ফুলের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি করতে প্রতিদিন ভিড় করছেন। প্রতিদিন শত শত তরুণ-তরুণী এসব বাগানে আসছেন। দীর্ঘ সময় সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

প্রতি বছর শরৎকাল এলেই যমুনার তীরে জন্ম নেওয়া এসব কাশফুল নতুন করে প্রাণসঞ্চার করে এসব চরাঞ্চলে। সকালে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়তেই কাশফুলগুলো ঝলমল করে উঠে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর যমুনা বুকে জেগে ওঠা চর কাজলা, বাটিয়া, শালুকা, কুড়িপাড়া, পাকুরিয়া, বাগবেড়, দীঘলকান্দি, মথুরাপাড়া, নাড়াপালাসহ বিভিন্ন কাশবনে শ্বেত-শুভ্র কাশফুল মুগ্ধতা ছড়িয়ে বাতাসের সঙ্গে দোল খাচ্ছে।

এসব কাশফুল শুধু সৌন্দর্য ও মুগ্ধতা ছড়ায় না; এর অর্থনৈতিক নানা দিকও রয়েছে। কাশফুল ও এর পাতা মাটিতে পড়লে জৈবসার তৈরি হয়; যা জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে। সবুজ কাশ গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাশফুলের বাগানেই উপজেলার মহিষের বাথানের খাবারের একমাত্র অবলম্বন। গাছটির চিরল পাতা খুব ধারালো ও খসখসে। গ্রামে এগুলো জ্বালানি, ঝাড়ু এবং ঘর ও পানের বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরের দেবডাঙ্গা এলাকার সিরাজুল হক, মন্তেজার রহমান, এমদাদ হোসেন প্রমুখ বলেন, কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ বেড়াতে আসেন। এদের মধ্যে নবদম্পতি ও তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশি। তবে এ ফুল বেশিদিন থাকে না। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই ফুল বাতাসে উড়ে যায়। অর্থাৎ কয়েক দিন পরই এ ফুল আর দেখা যাবে না।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, কাশফুল ও যমুনা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে বগুড়া জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক পর্যটক সারিয়াকান্দিতে আসেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে তারা (পর্যটক) নির্বিঘ্নে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা সৌন্দর্য উপভোগ করে নিরাপদে নিজ বাড়ি ফিরে যান।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম