জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হয়রানির মামলা, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ
যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকার নবাবগঞ্জের আইডিয়াল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির আনীত অভিযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
এসব ঘটনাকে অপপ্রচার ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাগমারায় মাদ্রাসা চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মাওলানা তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তার জনপ্রিয়তা এবং জামায়াত ইসলামীর প্রতি মানুষকে বিভ্রান্তি তৈরি করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে এ কাহিনী সাজিয়েছে। এছাড়া মামলায় অধ্যক্ষকে (মোহাম্মদ আলী আসলাম) উল্লেখ করা হয়েছে। বাদী ও ভিকটিম কখনো আসলাম আবার কখনো মোহামদ আলী বলে প্রচার করছে। এতেই প্রমাণ হয় কারো প্ররোচনায় এটা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর যে ঘটনার কথা ওই ছাত্রীর মা উল্লেখ করেছেন তা মিথ্যা। কারণ ওই দিন মাওলানা মোহাম্মদ আলী মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন না। শিক্ষক হাজিরা খাতা দেখিয়ে তিনি এ দাবি করেন। সেদিন তিনি ঢাকার দোহারে ঢাকা-১ আসনের জামায়াত ঘোষিত প্রার্থী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলামের সঙ্গে সারা দিন গণসংযোগ ও সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
এছাড়া লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ওই ছাত্রী উল্লেখিত ঘটনার দিনের পর নিয়মিত ৫ কর্মদিবস মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকলেও কাউকে এ ঘটনার বিষয়ে কিছু বলেনি। এতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মনে করে এটা একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পাবে বলে বিশ্বাস করি। আল্লাহ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
একইদিন ওই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বিকাল ৫টায় উপজেলার বাগমারা কোর্ড বিল্ডিং থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে চৌরাস্তা গিয়ে শেষ হয়।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত ও আসামিকে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
