ভেঙে যাওয়া এক বাড়ি। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা, ধানখেত, বিদ্যুতের খুঁটি এবং তারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার আলমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নে প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।
আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য রেজাউল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ঝড়ে ইউনিয়নে প্রায় ২শ পরিবারের বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে গেছে। ঘরের চালা চাপা পড়ে এক কৃষকের দুটি গরু মারা গেছে। এছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আবতাবুজ্জামান চয়ন জানান, ইউনিয়নের কুতুব গনেশ, কতুব হাজীপাড়া, কিসামত কুতুব গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়ে ভেঙে গেছে। অনেক আবাদি জমির ফসলও নষ্ট হয়েছে। গাছপালা ভেঙে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক গবাদিপশু ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে আছে। এসব উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের কাজ চলমান রয়েছে।
নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী জানান, সকালে হঠাৎ বৃষ্টিসহ প্রচণ্ড বেগে ঝড় বয়ে যায়। এতে ইউনিয়নের বাগডোহরা, বৈরাতি, পূর্ব কচুয়া, পশ্চিম কচুয়া, নোহালী, চর নোহালীসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩শ পরিবারের বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে আমরা আগাম কিছুই জানতাম না।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আচমকাই এ ঝড়টি হয়ে থাকে, এ ঝড়ের বিষয়ে আগাম কোনো কিছু জানা যায়নি। ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিমি। আমাদের রাডার সিস্টেমে স্টেশন সংখ্যার প্রয়োজন ২০টি, আছে মাত্র ৬টি। তাই কাভার করা সম্ভব হয় না। আগাম জানাব কী করে?
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করিম জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি খাদ্য সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, উপজেলার কিছু এলাকায় ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ অফিসের টিম কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি খাদ্য সহায়তাও পাঠানো হয়েছে।
