Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাসেলস ভাইপারের উৎপাত বেড়ে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে

Icon

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪০ পিএম

রাসেলস ভাইপারের উৎপাত বেড়ে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাসেলস ভাইপার সাপের উৎপাত বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দুইজনকে রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছে; অপরজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তার অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানা গেছে।

এদিকে নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রের জানা গেছে, নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের বরেন্দ্র গ্রামের কান্তু কর্মকার ওরফে মহাদেবের ছেলে সুনীল কর্মকার (৩২) সাপের কামড়ে মারা যান।

শনিবার আনুমানিক রাত ৩টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড় দেয়। পরে পরিবারের লোকজন সুনীলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোদাগাড়ী এলাকায় মৃত্যুবরণ করলে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে।

এদিকে শনিবার বিকালে ভোলাহাট উপজেলার খাড়োবাটরা গ্রামের মৃত মুসলিম আলীর ছেলে আজিজুল হক (৪৮) ধানের জমির পাশে ঘাস কাটার সময় রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আলালপুর ক্যাম্পপাড়ায় আওকাত আলীর ছেলে রানাউল ইসলামকে (৩১) নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড় দেয়। রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোদাগাড়ী এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া কয়েক দিন আগে হোসেনভিটা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আনারুল হক (৫২) ধানের জমিতে কাজ করার সময় রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে ৬ জন সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসায় সুস্থ হলেও ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভোলাহাট থানার উপ-পরিদর্শক ফজলে বারী জানান, সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। অপর মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

নাচোল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম নুরুল কাদির সৈকত জানান, সুনীলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। পরে গ্রামে ফিরে এসে কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু নিশ্চিত করা হলে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম