Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাতকড়াসহ আ.লীগ নেতা ছিনতাই, এসআই মামুন প্রত্যাহার

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫২ পিএম

হাতকড়াসহ আ.লীগ নেতা ছিনতাই, এসআই মামুন প্রত্যাহার

বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রেফতারের পর আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে (৪৫) ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এসআই আল মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান জানান, ওই কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা সে ব্যাপারে তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার ঘুস নেওয়ার অভিযোগেরও তদন্ত হবে।

সোমবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান জানান, এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরকদ্রব্যসহ বিভিন্ন আইনে ১২টি মামলা হয়। এরপর তিনি আত্মগোপন করেন। তিনি গত ৪ অক্টোবর রাতে গোপনে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চকভোলা খাঁ গ্রামে নিজের বাড়ির পাশে আত্মীয়ের বিয়েতে আসেন।

খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার এসআই আল মামুন একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে সাদা পোশাকে ওই বাড়িতে অভিযান চালান। একপর্যায়ে তিনি রাজুকে গ্রেফতার করে এক হাতে হাতকড়া পরান। এরপর তাকে মোটরসাইকেলে তুলে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় রাজুর বিপুলসংখ্যক নারী ও পুরুষ আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামবাসী তাদের ঘেরাও করেন। একপর্যায়ে তারা পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে রাজুকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

স্বজনরা অভিযোগ করেন, রাজুকে গ্রেফতার না করার শর্তে এসআই আল মামুন সম্প্রতি এক লাখ টাকা ঘুস নেন। ঘুস নেওয়ার পরও গ্রেফতার করার কারণে পুলিশের কাছ থেকে রাজুকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার এসআই আল মামুন সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধরসহ বিভিন্ন ধারায় থানায় আওয়ামী লীগ নেতা রাজুকে প্রধান করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ২২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ রোববার দিন ও রাতে চকভোলা খাঁ গ্রামে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১১ নারী ও ১০ পুরুষকে গ্রেফতার করেন। তাদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকায় শিবগঞ্জের চকভোলা খাঁ গ্রামটি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। নারী ও শিশুরাও গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন।

গ্রামবাসী বলছেন, পুলিশ নিরীহ জনগণকে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে।

এদিক গ্রেফতারের পর আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা স্বাক্ষরিত পত্রে শিবগঞ্জ থানার এসআই আল মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়। তাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ায় জড়িত ১১ নারীসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তবে কোনো নিরীহ জনগণকে হয়রানি করা হয়নি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম