ঢাকার ধামরাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যার মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার দিনগত রাত ১২টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার নবীনগর ডিওএইচএসের একটি বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতার অন্যরা হলেন- ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য সানোয়ার হোসেন সুজন, ধামরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মসি, ধামরাই পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. আমিনুর রহমান ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মো. আহাদ। 

মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এসব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাবেক জনপ্রতিনিধিরা ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণ, হাতবোমা নিক্ষেপসহ নানা ধরনের নাশকতার সৃষ্টি করে।  

আরও পড়ুন

আরও পড়ুন

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, অভিযুক্ত আটক

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিন বেলা ১১টার দিকে ধামরাই পৌর শহরের হার্ডিঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে আসামিরা তৎকালীন ধামরাই থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ, এসআই পাবেল মোল্লা, এসআই রাজু মণ্ডলসহ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর নারকীয় হামলা চালায়। 

এ সময় পুলিশের বেপরোয়া গুলি বর্ষণে শত শত ছাত্র-জনতা মারাত্মক জখম হন। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় এক ছাত্র। পরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ আগস্ট মারা যান। 

ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা ও নাশকতা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।