|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক এলাকা হিসেবে পরিচিত বারুয়াখালী ইউনিয়ন। কৃষক, শ্রমিক ও প্রবাসী অধ্যুষিত এ ইউনিয়নটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান যোগাযোগপথ বারুয়াখালী প্রাইমারি স্কুল মোড় থেকে ব্রাহ্মণখালী সরিষার তেল কারখানা পর্যন্ত সড়কটি বর্তমানে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দেখলে মনে হবে- এটি কোনো সড়ক নয়, যেন পুকুর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। চলমান মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে এসব গর্তে পানি জমে থাকায় জনসাধারণের চলাচল দুঃসহ হয়ে উঠেছে। প্রায়ই মোটরসাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও ছোট ছোট যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি এখন নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, এই সড়ক দিয়েই এলাকার মানুষ বারুয়াখালী হাট-বাজারে যাতায়াত করে এবং শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যায়। এছাড়া কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য পরিবহণ করে; কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে পরিবহণ ব্যয় বেড়ে গেছে। অনেক সময় ফসলও নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও চরম দুর্ভোগে পড়ছে। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা জরুরি।
বারুয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. রিফাত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আমরা বারবার আবেদন করেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। দ্রুত সংস্কার না হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়বে। বর্তমানে এ সড়কটি দেখলে মনে হবে- এটি কোনো সড়ক নয়, যেন পুকুর।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বতর্মান সময়ে এ সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু না হলে সড়কটি সম্পূর্ণ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। জরুরি চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া এবং কৃষিপণ্য পরিবহণে এখন দুর্ভোগ চরমে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সড়কটি সংস্কার প্রসঙ্গে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা ইসলাম বলেন, এ রাস্তাটির সংস্কার কাজ দ্রুতই শুরু হবে। একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যা এলজিইডির (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডির) প্রকৌশল নাজমুল করিম বলেন, ঢাকা বিভাগের রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্পের (রাস্তার ধারণক্ষমতা বাড়ানো) আওতাধীন বান্দুরা-রুয়াখালী-শিকারীপাড়া সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার জন্য প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ কাজ খুব শিগগিরই শুরু করা হবে।
