Logo
Logo
×

সারাদেশ

গন্তব্যে যেতে মোটরসাইকেলে চড়ে বসলেন উপদেষ্টা

Icon

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২২ পিএম

গন্তব্যে যেতে মোটরসাইকেলে চড়ে বসলেন উপদেষ্টা

গাড়িবহর যানজটে আটকা পড়ায় বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে চেপে বসেন সড়ক উপদেষ্টা। ছবি: যুগান্তর

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত মাত্র ১২ কিলোমিটার পথ। স্বাভাবিক সময়ে এ পথ পাড়ি দিতে লাগে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা ও সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে লেগে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।

এই যানজটের ভোগান্তি থেকে রেহাই পাননি খোদ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানও। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে তিনি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ পরিদর্শনে এসে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়েন। পরে বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছান।

সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ১১টায় আশুগঞ্জ থেকে রওনা হন উপদেষ্টা। বেলা ১টার সময়েও বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বাহাদুরপুর থেকে মোটরসাইকেলে উঠতে বাধ্য হন। তার গাড়িবহর তখনো আটকা ছিল আশুগঞ্জ এলাকাতেই।

এর আগে সকালে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে তিনি কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে নামেন। পরে সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে আশুগঞ্জের হোটেল উজানভাটিতে যাত্রাবিরতি করেন। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করলে আশুগঞ্জের বাহাদুরপুর এলাকায় তীব্র যানজটে আটকা পড়েন।

জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। দীর্ঘদিন ধরে আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়ে চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

গত রোববার থেকে উপদেষ্টার সফর উপলক্ষে সড়কের খানাখন্দ ভরাটের কাজ শুরু হয়। এক পাশ বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ চলায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে তিন দিন ধরেই তীব্র যানজট চলছে মহাসড়কের এই অংশে।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম জানান, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। পথে আশুগঞ্জের মৈত্রী স্তম্ভ এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন। পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম