পাবনায় আ.লীগের সাবেক এমপিসহ ১৩৬ জনের নামে চার্জশিট
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৬ এএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদকে প্রধান আসামি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা আদালতে এ চার্জশিট দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, এ মামলায় বিভিন্ন সময় ৩৫ জন গ্রেফতার রয়েছেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পাবনা জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম সরওয়ার খান জুয়েল বলেন, রাতেই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দেন বলে তাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই ফোনে জানিয়েছেন। চার্জশিটের কোনো কপি বা অনুলিপি এখনো হাতে পাইনি।
এ মামলার এজাহারে ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সম্ভবত একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তদন্তে আরও ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার থেকে কারও নাম বাদ যায়নি বলে জেনেছি।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে সদর উপজেলার চর বলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (১৮) এবং হাজিরহাট বেতেপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুব হাসান নিলয় (১৬) নিহত হন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ওই হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ আগস্ট নিহত ছাত্র জাহিদুল ইসলামের বাবা মো. দুলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এতে সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদকে প্রধান আসামি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, সাবেক সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারোফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।

