Logo
Logo
×

সারাদেশ

পায়রা-লোহালিয়ায় অভিযানের নামে চোর-পুলিশের খেলা

Icon

দুমকি দ. (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০২ পিএম

পায়রা-লোহালিয়ায় অভিযানের নামে চোর-পুলিশের খেলা

প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পায়রা, পান্ডব, পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীতে চলছে অবাধে ইলিশ শিকার। একদিকে মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের অভিযান, অন্যদিকে জেলেদের লুকোচুরি- দুইপক্ষের এ ‘চোর-পুলিশের খেলা’ থামছে না কোনোভাবেই।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে প্রতিদিনই চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের অভিযান। গত এক সপ্তাহে দুমকি উপজেলার পায়রা, পান্ডব, পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীতে অন্তত ১৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে শতাধিক অবৈধ কারেন্ট জাল ও মাছ ধরার ৪টি নৌকা জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। এ সময় ছয়জন জেলেকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, পায়রা-পান্ডব, পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীতে এখন ইলিশ শিকারের যেন প্রতিযোগিতা চলছে। দিনে-রাতে সমান তালে চলছে ইলিশ শিকার। 

অভিযানের ট্রলার দেখলেই যে যেমন পারছে নৌকা-জাল নদীর তীরে ফেলে পালাচ্ছেন, আবার ট্রলার চলে গেলেই নদীতে ফের জেলেদের জাল ফেলতে দেখা যাচ্ছে। 

বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে ও ভোররাতে জেলেরা ছোট নৌকায় দল বেঁধে ইলিশ শিকার করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। 

এ সময় মৎস্য কর্মকর্তারা একপ্রান্তে অভিযান চালালে অন্যপ্রান্তে চলে শত শত নৌকা-জালে মাছ ধরার কাজ। ফলে প্রশাসনের তৎপরতা সত্ত্বেও মা-ইলিশ শিকার কোনোক্রমেই বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

কয়েকজন জেলের অভিযোগ, আমাদের জীবিকা একমাত্র নদী। সরকার বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা না করলে না খেয়ে মরতে হবে। অন্যদিকে মৎস্য বিভাগ বলছে, আইন ভাঙলে কোনো ছাড় নেই। 

দুমকি উপজেলার দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, ইলিশ সংরক্ষণে প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। মা-ইলিশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুত ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবু পায়রা, লোহালিয়া ও পান্ডব নদীতে চলছে অবাধ শিকার, যা ইলিশের প্রজনন প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলছে। প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকলেও নদীতে ইলিশ ধরা থামছে না-চলছেই এই চোর-পুলিশের খেলা।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম