|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার শাজাহানপুরে পূজার আনন্দে বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়াও মারা গেছেন।
রোববার মধ্যরাতে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। এ নিয়ে মদপানে অসুস্থ পাঁচজনের সবারই মৃত্যু হলো।
সোমবার দুপুরে শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ এ তথ্য দিয়েছেন।
মৃতরা হলেন- বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমান মণ্ডলের ছেলে কৃষক মিজানুর রহমান মণ্ডল লিটন (৫০), খোট্টাপাড়া সোনারপাড়া গ্রামের সোনার আবদুল হান্নান খোকার ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক নাছিদুল ইসলাম (২৭), খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়ার সুলতান মাহমুদের ছেলে ট্রাকচালক আবদুল মানিক আকন্দ (৩০), একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক আবদুল্লাহ আল কাফী (৩০) এবং মন্টু মিয়ার ছেলে আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়া (৩০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, শারদীয় দুর্গাপূজার দশমীর দিন গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া মধ্যপাড়া সনাতন ধর্মশালা পূজামণ্ডপের পাশে বেলতলা এলাকায় মিজানুর রহমান মণ্ডল লিটন, নাছিদুল ইসলাম, আবদুল মানিক আকন্দ, আবদুল্লাহ আল কাফী ও আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়া একসঙ্গে মদপান করেন। বাড়িতে ফেরার পর ৩ অক্টোবর সকাল থেকে তাদের বমি ও পেট ব্যথা শুরু হয়। পরে তারা জানান, পূজার আনন্দে মদপান (রেকটিফায়েড স্পিরিট) করায় অসুস্থ হয়েছেন।
স্বজনরা অসুস্থ পাঁচজনকে পর্যায়ক্রমে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ অক্টোবর রাতে মিজানুর রহমান মণ্ডল লিটন মারা যান। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লিটনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে নাছিদুল ইসলাম ও ১০ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে আবদুল মানিক আকন্দ এবং বিকাল ৫টার দিকে আবদুল্লাহ আল কাফী মারা যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়াকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে রোববার রাত ১টার দিকে তিনিও মারা যান।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিষাক্ত মদপানে মৃতদের কিডনি অকেজো হয়ে যায়।
শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ পাঁচজনের সবার মৃত্যু হয়েছে। আগে মৃত চারজনের মধ্যে লিটন বাদে তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারকে দেওয়া হবে। এসব ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃতের স্বজনরা মামলা করলে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
