|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার সোনাতলায় কৃষকরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগাম মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। পানি ওঠার ভয় নেই এমন উঁচু জমিতে তারা চারা রোপণ করে ভালো ফলনের আশায় পরিচর্যা করছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সোনাতলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ১১ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল নয় হাজার ২০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর দুই হাজার ৭৪০ হেক্টর বেশি।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষকরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগেভাগে মরিচের চারা রোপণ করেছেন। এখন ভালো ফলন পাবেন এমন আশায় প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করছেন। উপজেলার খাটিয়ামারী চরের বাসিন্দা মোস্তফা মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, সোনা মিয়া, মিজানুর প্রমুখ কৃষক জানান, প্রতি বছর বন্যার ধকল কাটাতে বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকেরা আগেভাগেই মরিচের জীব বা চারা রোপণের প্রস্তুতি শুরু করেন। লাভবান এই ফসল চাষের প্রতি কৃষকের দৃষ্টি বেশিই থাকে।
জন্তিয়ারপাড়া চরের আইয়ুব আলী জানান, গত বছর তিনি নয় বিঘা জমিতে আগাম মরিচ চাষ করেন। এতে তার প্রায় সাত লাখ আয় হয়েছে। এবারও তিনি একই পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেছেন।
সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন জানান, এ উপজেলার কৃষকেরা এবার ছনিক, বিজলী, কারেন্ট, হাইব্রিডসহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আগাম মরিচ চাষ করেছেন। সাধারণত বন্যার পরপরই নদীকূলীয় এলাকার কৃষকেরা চারা উৎপাদন করে মরিচ গাছ রোপণ করেন। চারা গাছ রোপণের ৭৫-৯০ দিনের মধ্যে ফুল ও ফলন আসে। আগাম রোপণের ফলে মরিচ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘরে তোলা সম্ভব হয়।
