Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ১০

Icon

ভাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ১০

ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ও ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় পর্যাপ্ত আলো না থাকায় প্রায়ই চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। হাইওয়ে এক্সপ্রেস ও ইন্টারচেঞ্জ এলাকাজুড়ে গত দুই মাসে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাত হলেই ডুবে যায় ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর। এলাকাটিতে দুই মাস ধরে নেই বিদ্যুতের আলো। এতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বারটি ফের ভুতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়। যাত্রী ও পথচারীদের অভিযোগভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের আলো না থাকায় স্থানীয়সহ ওই এলাকায় দিয়ে যাতায়াতকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত দুই মাসে ১০টির বেশি চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার শিকার হয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। 

এ ব্যাপারে সড়ক ও রেলপথ বিভাগের শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এমএম হানিফ বলেন, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ইন্টারচেঞ্জের বিদ্যুতের তার ও গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী প্রতিনিয়তই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। বিদ্যুতের তারগুলো চুরি হওয়ার কারণে পুরো এলাকায় রোড ল্যাম্পগুলো জ্বালাতে পারি না। পরে বাধ্য হয়ে জেনারেটর দিয়ে কিছুদিন লাইটগুলো জ্বালিয়েছি। তবে এ সমস্যার পূর্ণ সমাধানের জন্য এবং বিকল্প ব্যবস্থার জন্য কোরিয়ান কোম্পানির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, ইন্টারচেঞ্জে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় প্রায়ই চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। হাইওয়ে এক্সপ্রেস বা ইন্টারচেঞ্জ এরিয়ায় গত দুই মাসে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি-ছিনতাই ও দস্যুতার ঘটনায় থানায় চারটি মামলা হয়েছে। সে মামলার আসামিরা জামিনে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়াচ্ছে। এসব প্রতিরোধে ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় সিসিটিভির আওতায় আনা জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে ‘ছিনতাই প্রবণ এলাকা’ লেখা সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ব্যবহার ও মাইকিং করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন ওসি আশরাফ। তিনি আরও জানান, রাতে ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হবে

এক্সপ্রেসওয়ে দৃষ্টিনন্দন গোলচত্বরে ঘুরতে আসা কয়েকজন ছাত্র জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই কোনো রোডে লাইট জ্বলে না। অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় এলাকাটি খুবই বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।

ঢাকা থেকে বরিশালগামী কয়েকজন যাত্রী বলেন, ‘দুই মাস আগে ভাঙ্গায় নামার পরই ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে এক যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।’

ভাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলী (ওজোপাডিকো) মো. সাইদুর রহমান জানান, ‘কয়েক বছর বিদ্যুতের বিল সময়মতো পরিশোধ না হওয়ায় ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বর্তমানে দুই থেকে তিন মাসের বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে। তবে সাব-স্টেশনের সংযোগ সচল আছে, কিন্তু তার চুরির কারণে লাইট বন্ধ রয়েছে।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম