শরীয়তপুরকে ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শরীয়তপুর জেলাকে ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজার সামনে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সড়ক অবরোধ করেছেন ‘জাগো শরীয়তপুর’ নামে একটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রায় আধাঘণ্টা পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সকাল ১০টার পর থেকেই পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
মানববন্ধন শেষে বেলা ১১টার দিকে টোলপ্লাজার সামনে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে শরীয়তপুর জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে ভৌগোলিক দিক থেকে শরীয়তপুর থেকে ফরিদপুরের তুলনায় ঢাকার দূরত্ব কম।
শরীয়তপুরের সঙ্গে ঢাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, ব্যবসা বাণিজ্যের নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে সেগুলো আরও সহজতর হয়েছে। এ কারণে শরীয়তপুরবাসী কোনোভাবেই ফরিদপুর বিভাগে যেতে চান না।
আন্দোলনকারীরা শরীয়তপুরকে ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় সামনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আল-আমিন নামে একজন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার সঙ্গে রয়েছি। এছাড়া ফরিদপুর থেকে ঢাকায় সহজে যাতায়াত করতে পারি। কোনোভাবেই ফরিদপুর বিভাগে যাব না। যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।
জাগো শরীয়তপুরের আহ্বায়ক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, আমরা ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছি। প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগ থেকে শরীয়তপুরের নাম বাদ দেওয়া না হলে লাখ লাখ মানুষ মিলে পদ্মা সেতু ব্লকেড করে দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেওয়া হবে।
এ সময় টোলপ্লাজার সামনে আটকা পড়ে শতাধিক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন। আন্দোলনকারীরা শরীয়তপুরকে ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় সামনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি গোলাম রসুল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রায় ২৫ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল। আমাদের অনুরোধে আন্দোলনকারীরা পরবর্তীতে সরে যান।
