হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা বাগানে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে একই পরিবারের তিন শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। তারা সবাই উপজেলার রামগঙ্গা চা বাগান থেকে বিয়ে উপলক্ষে এ বাগানে এসেছিল।

এ ঘটনায় বিয়েবাড়ির আনন্দ নিমিষেই বিষাদে পরিণত হয়। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তিন শিশুর এমন মৃত্যু মানুষ মেনে নিতে পারছেন না।

মৃত তিন শিশু হলো- উপজেলার রামগঙ্গা চা বাগানের সাজিদ আলীর মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সামিমা আক্তার, সাজিদ আলীর ভাই মজিদ আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সানিয়া আক্তার ও অপর ভাই সেলিম আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মুসকানা আক্তার।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রামগঙ্গা চা বাগানের সাজিদ আলী তার পরিবার নিয়ে বিয়ে উপলক্ষে সোমবার রাতে চান্দপুর চা বাগানের আলমের বাড়িতে আসে। মঙ্গলবার ছিল বিয়ের দিন। দুপুর ১২টায় সামিমা আক্তার, সানিয়া আক্তার ও মুসকানা আক্তার চান্দপুর বাগানের পুকুরে গোসল করতে যায়। পুকুরে খেলা করার সময় পানিতে ডুবে তারা মারা যায়। তারা কেউ সাঁতার জানত না।

স্থানীয়রা প্রথমে সানিয়াকে ভাসমান অবস্থায় পেলেও অপর দুজনকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুরের দক্ষিণ প্রান্তে পানির নিচে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেমা হক বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুরা মারা গেছে।

চুনারুঘাটের সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খায়রুন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারা বাগানের আলমের বাড়িতে তার মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে বেড়াতে এসেছিল; কিন্তু তাদের বাড়িতে পুকুর না থাকায় শখের বসে বাগানের বড় পুকুরে গোসল করতে যায়। পুকুরে তারা সাঁতার দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা পানিতে ডুবে মারা যায়।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনে অত্যন্ত খারাপ লেগেছে। মৃতদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।