ধামরাইয়ে চাঁদাবাজিতে নাজেহাল ম্যাক্সি পরিবহণ মালিকরা
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হাইওয়ে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে ঢাকার সাভারের নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ-ধামরাই-ধানতারা ও খড়ারচর সড়কে চলাচলকারী ম্যাক্সি পরিবহণে (বিকল্প) ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ম্যাক্সি পরিবহণের মালিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
তারা জানান, সাভারের নবীনগর জাতীয় স্মৃতি সৌধের সামনে থেকে ধামরাইয়ের ধানতারা বাজার পর্যন্ত সড়কে দুই শতাধিক ম্যাক্সি পরিবহণ চলাচল করে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন এ পরিবহণে যাতায়াত করেন।
চাঁদাবাজির কারণে এ পরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রী সাধারণের চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। ম্যাক্সি পরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধে চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জরুরিভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরাও।
ম্যাক্সি মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল খালেক ও কোষাধ্যক্ষ বাবুল হোসেন বলেন, আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের পরিবহণ ব্যবসায়ী। বিভিন্ন এনজিও, ব্যাংক ও মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অল্প দামে ম্যাক্সি পরিবহণ (বিকল্প) কিনে এসব সড়কে চালাই। আমরা অত্যন্ত গরিব মালিক। চালক ও হেলপারদের বেতন দিয়ে ও পরিবহণ মেরামতসহ অন্যান্য খরচ করার পর কোনো মতে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি।
তাদের অভিযোগ, এর মধ্যে নবীনগর কোড়গাওয়ের শামীম ও নবীনগর এলাকার ভাড়াটিয়া নান্নু মিয়া নামের সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র এ ম্যাক্সি পরিবহণে প্রতিনিয়ত মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে হাইওয়ে থানা পুলিশ দিয়ে চালক ও পরিবহণ মালিকদের নানাভাবে হয়রানি করে।
বিষয়টি আমরা থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করেছি। এরপরও চাঁদাবাজি বন্ধ না হওয়ায় ম্যাক্সি পরিবহণের মালিকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। দ্রুত এসব চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবহণ মালিকরা।
ধামরাই থানার ওসি পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো চাঁদাবাজকেই ছাড় দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজি বন্ধে ও চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সদা-সর্বদা তৎপর রয়েছেন।
