সাবেক চেয়ারম্যানের ২ ছেলের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বেপারীর দুই ছেলের বসতবাড়ির জায়গা দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন দখলের পাশাপাশি জায়গায় গোয়াল ঘর নির্মাণ করেছে। এছাড়া শুক্রবার উঠানে থাকা গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোনাতলা থানার ওসি রওশন কবীর জানান, তদন্তসাপেক্ষে অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের বালুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মদ আলী বেপারী বাচ্চুর দুই ছেলে রাফিউল আলম সবুজ ও রুহুল আমিন হাসুর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ও কেনা ৫৯ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে একই গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিন বেপারীর ছেলে এনামুল হক, মৃত আব্দুল জোব্বারের ছেলে এবাদুল হক ও তাদের লোকজন জোরপূর্বক জায়গা দখল করে সেখানে গোয়াল ঘর নির্মাণ করেছেন।
এছাড়াও শুক্রবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের বাড়ির আঙিনায় লাগানো গাছপালা কেটে ফেলেছে। শুধু জায়গা দখল ও গাছ কর্তন নয়; প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশে হুমকি দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কৃষিবিদ রুহুল আমিন হাসু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাদের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত বছর থানায় অভিযোগের কারণে দুপক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বললেও আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরপর থেকে তারা অব্যাহতভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
রাফিউল আলম সবুজ বলেন, বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে ইতোমধ্যেই আট দফা গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়েছে। তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন গ্রাম্যসালিশ বৈঠক অমান্য করে একের পর এক তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার তাদের বাড়ির উঠানে লাগানো গাছপালা ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে সীমানা করা খুঁটিগুলো উপড়ে ফেলেছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিপক্ষের এনামুল হক ও এবাদুল হক বলেন, জমি-জমা নিয়ে তাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
তারা দাবি করেন, নিজের জায়গা থেকে গাছপালা কর্তন, সীমানা প্রাচীর ভাঙা ও গোয়াল ঘর নির্মাণ করেছেন।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি রওশন কবীর জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
