Logo
Logo
×

সারাদেশ

সৈয়দপুরে মহিলা দলের সভাপতির ওপর হামলা, আহত ৬

Icon

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম

সৈয়দপুরে মহিলা দলের সভাপতির ওপর হামলা, আহত ৬

নীলফামারীর সৈয়দপুরে মহিলা দলের সভাপতির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই দলের ৬ নারী নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় শহরের থানা মোড় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওনক জাহান রিনু, তার বোন নিলুফা ইয়াসমীনসহ ছয়জনকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওনক জাহান ও সাধারণ সম্পাদক রুপা হোসেনের মাঝে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। শনিবার রাতে রওনক জাহান রিনুর বোন বহিষ্কৃত নেত্রী দলীয় অফিসে আসেন দেখা করার জন্য।

এ সময় সাধারণ সম্পাদক রুপা হোসেন আপত্তি তুললে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে রওনক জাহান বাসায় ফেরার পথে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। খবর পেয়ে মহিলা দলের কর্মীরা ছুটে গেলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

রওনক জাহান রিনু বলেন, রুপার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত ঝামেলা ছিল না। কিন্তু তিনি পার্টি অফিসে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে আমি বাসায় ফেরার সময় তার লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমার মাথাসহ সারা শরীর ফুলে গেছে। আমার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা মোবাইল ও ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় রুপা।

মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুপা বলেন, সভাপতির বোন জাতীয় পার্টির ভোট করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল; কিন্তু তিনি তাকে নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তর্ক শুরু করেন। পরে থানার পাশে আমাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।

সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহিন আকতার সাহিন বলেন, মহিলা দলের সভাপতি রওনক জাহান রিনু নিঃসন্দেহে একজন ক্লিন ইমেজের নেত্রী। এর ফলে তিনি উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক রুপাও দলের জন্য জেলহাজতে থেকেছেন। তবে সভাপতির ওপর হামলা চালিয়ে আহত করায় অপরাধ করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্যই অপরাধীর বিচার করা হবে।

সৈয়দপুর থানার ওসি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, গতরাতে থানার পাশে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। একপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম