ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর ঘর থেকে মনিষা খাতুন (১৮) ও সোহাগী খাতুন (২৫) নামের দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আটঘরিয়া গ্রাম থেকে এবং দুপুরে সুনতাপুর গ্রাম থেকে পৃথক ঘটনায় এই দুটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মনিষা খাতুন উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামের আজাদ আলীর স্ত্রী এবং সুলতানপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সোহাগী খাতুন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সোহাগী খাতুন (২৫) বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মনিষা খাতুনের পিতা মুনসাদ আলী বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের সময় বয়স কম ছিল। ওই সময় ছেলেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। দেড় মাস আগে মেয়ের বয়স হওয়ায় বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে চাইলে ছেলে ও তার পরিবার আবারও ২ লাখ টাকা দাবি করে।
বরের মামা শহিদুল ইসলাম বলেন, বিয়ের সময় জামাইকে একটি মোটরসাইকেল দেওয়ার কথা ছিল। টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানা নেই।
মেয়ের মামা সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে জানতে পারি ভাগ্নি গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। পরে ৯৯৯ কল করে পুলিশকে জানাই। শুনেছি ছেলে কিছুদিন আগে আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। এ নিয়ে পরিবারে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলছিল।
এ বিষয়ে ছেলের মা শরিফা বেগম বলেন, সন্ধ্যায় তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এরপর ছেলে বাড়ি থেকে চলে যায়। আর ফিরে আসেনি। পরে রাত ১১টার দিকে ঘরে গিয়ে দেখি ছেলের বউ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে।
বাঘা থানার ওসি আফম আছাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৃথক দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে।

