Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীর পরিবার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫১ এএম

প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীর পরিবার

ছবি: যুগান্তর

নবাবগঞ্জে হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা ও দশ শতাংশ জমি হাতিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রতারক রিপন ও তার স্ত্রী তানিয়া। প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান ও তার পরিবার সব হারিয়ে পথে বসেছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে নবাবগঞ্জে ‘জেলা পরিষদ মার্কেটে’র দ্বিতীয়তলায় হাবিব শাড়ি বিতান নামে একটি কাপড়ের দোকানের ব্যবসা করে আসছি। আমার স্ত্রী সোমা আক্তারও আমার সঙ্গে এই ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে পারিবারিক জীবনে কিছু ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হয়। সংসারে এই অশান্তির সময়ে আমি বিষয়টি আলোচনা করার জন্য আমার পাশের দোকান ‘স্বপ্নসাঁজ বিউটি পার্লারে’র মালিক রিপনের সঙ্গে সব কথা বলি। সে আমার পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে কৌশলে আমাকে তাদের প্রতারণার জালে জড়ায়। তার স্ত্রী তানিয়ার সহযোগিতায় আমার সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। প্রথমে তারা আমাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করে বিদেশে পাঠানোর লোভ দেখায়। রিপন ও তার স্ত্রী বলে, তারা ইউরোপে ভিসা ও কাজের সুযোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। পরে তারা ধীরে ধীরে আমার কাছে নানা অজুহাতে টাকা নিতে থাকেন। কখনো ভিসার খরচ, কখনো এজেন্সি ফি, কখনো কাগজপত্র তৈরির নামে। এভাবে আমি আমার জীবনের সব সঞ্চয় থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা তাদের হাতে তুলে দেই। হাবিব আরও বলেন, রিপনের স্ত্রী তানিয়া আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি পরিকল্পনা অনুযায়ী গত মার্চ মাসে নবাবগঞ্জের ছাতিয়া এলাকায় নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সহায়তায় ২০ লাখ টাকা কাবিনে আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করে। বিয়ের পর তারা কৌশলে আমার যন্ত্রাইল মৌজার ১০ শতাংশ জমি নিজেদের দখলে নেয়। আমি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করি, কিন্তু কোনোভাবেই তাদের খুঁজে পাইনি। বরং বিভিন্নভাবে তারা আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। হাবিব আমার অনেক ক্ষতি করেছে, যা বলে শেষ করা যাবে না।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম