প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের নিপীড়নের অভিযোগ
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাগুরার মহম্মদপুরে মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মেদ নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মোস্তাক আহম্মেদ উপজেলার ভাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ভাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী পঞ্চম ও চতুর্থ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিভাবকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকে এতটাই আতঙ্কিত যে, অন্যত্র কোনো বিদ্যালয়ে ভর্তি করাব, তবুও ওই বিদ্যালয়ে আর মেয়েকে পড়াব না।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা উল্লেখ করেছে- বহুদিন ধরে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ কর্তৃক জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন ও ভয়ভীতির শিকার হয়ে আসছি। এ অবস্থায় আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম হতাশাগ্রস্ত। তারা অবিলম্বে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীরা জানায়, প্রধান শিক্ষক স্যার বিদ্যালয়ের দোতলায় একটি রুমে মাঝে-মধ্যেই পঞ্চম ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীদের ডেকে নিতেন। সেখানে তাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করতেন এবং জোরপূর্বক প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত তাদের আটকে রাখতেন।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এলাকার ইউপি সদস্য কাইমুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ আশা করছি।
স্থানীয়দের দাবি, শিক্ষকের এমন আচরণ সমাজের জন্য চরম লজ্জার। এ ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাক আহমেদ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি মাঝে-মধ্যে ছাত্রীদের আদর করি ঠিকই, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযোগ উঠেছে ওই সব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট।
এ বিষয়ে প্রাথমিক উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বলেন, আমি মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি বিষয়টি। কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মহম্মদপুর থানার ওসি আব্দুর রহমান বলেন, এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে- এ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
