দলছুট জোড়া হনুমান ঘুরে বেড়াচ্ছে সিংড়ার আনাচে-কানাচে
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নাটোরের সিংড়ায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ও আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে দলছুট দুটি মুখপোড়া হনুমান। গত তিন দিন ধরে উপজেলার চামারি ইউনিয়নের চক কালিকাপুর, চক বলরামপুর, ছোট কালিকাপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় হনুমান দুটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে।
হনুমান দুটি দেখতে কিছুটা শান্ত প্রকৃতির মনে হলেও উৎসুক জনতার ভিড়ে কখনও গাছের উঁচু ডালে আবার কখনো বাড়ির টিনের চালে আশ্রয় নিচ্ছে। আবার অবসরে পেয়ারা ও বড়ই বাগানে বিশ্রাম নিতেও দেখা গেছে।
চক কালিকাপুর গ্রামের শিক্ষার্থী তুষার ইমরান বলেন, দুই দিন আগে খাবারের সন্ধানে হনুমান দুটি তার বাড়ির পাশের একটি পেয়ারা বাগানে আশ্রয় নেয়। প্রাণী দুটি মুখপোড়া হলেও দেখতে খুব শান্ত প্রকৃতির ও সুন্দর। কিন্তু উৎসুক জনতা তাদের বিরক্ত করছে। গ্রামের সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন।
আর চক বলরামপুর গ্রামের সাজেদুল ইসলাম বলেন, উৎসুক জনতার ভিড়ে প্রাণী দুটি তার বাড়ির মেহগনি গাছে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে গতকাল চামারি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় প্রাণী দুটিকে দেখা যায়। পরে মানুষের বিরক্তের কারণে সেখান থেকে চলে এসেছে। প্রাণী দুটির দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে অনেকেই কলা, বিস্কুট, রুটি দিয়ে ঢিল ছুড়ছেন। ফলে ভয়ে প্রাণী দুটি দৌড়াদৌড়ি করছে।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিল হালতি ত্রিমোহনী ডিগ্রি কলেজের ভূগোলের সহকারী অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতি বছরই চলনবিল এলাকায় এমন দলছুট হনুমানের আগমন ঘটে। পরে আবার তাদের বাসস্থানে ফিরে যায়। এ ধরনের দলছুট হনুমানকে বিরক্ত করা যাবে না। কোনো পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকার বা হত্যা করা যাবে না। পাখি ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় তারা একযুগ ধরে চলনবিলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে যাচ্ছেন। মানুষকে সচেতন করছেন।
রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, দলছুট হয়ে তারা এখানে এসেছে। আবার পরবর্তীতে তারা নিজে নিজেই বাসস্থানে ফিরে যাবে। প্রাণী দুটিকে বিরক্ত করা যাবে না। কোনো খাবার দেওয়া যাবে না।
