Logo
Logo
×

সারাদেশ

সরকারি গেজেট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করলেন জুলাই যোদ্ধা

Icon

ফরিদপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম

সরকারি গেজেট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করলেন জুলাই যোদ্ধা

নিজের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ফরিদপুরের জুলাই যোদ্ধা আবরাব নাদিম ইতু। ছবি: যুগান্তর

স্বেচ্ছায় জুলাই সরকারি গেজেট (নং-২৪৮৯) এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ফরিদপুরের জুলাই যোদ্ধা আবরাব নাদিম ইতু। জেলার বিভিন্ন অফিসে দুর্নীতি, সিন্ডিকেট বহালসহ নানা অনিয়ম আগের মতো বহাল থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদনপত্র পেশ করেন আবরাব নাদিম। 

আবেদনপত্রে আবরার নাদিম ইতু উল্লেখ করেন, ‘জুলাইয়ের যৌক্তিক আন্দোলনে আহত হয়েছিলাম; কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বর্তমান অন্তবর্র্তীকালীন সরকার এবং স্থানীয় সরকারগুলো জুলাইয়ের যে চেতনায় (দুর্নীতি ও লুটপাট মুক্ত দেশ) গড়তে চেয়েছিল তা কোনোভাবেই এক বছরের অধিক সময় ধরে পারেনি এবং কার্যকর যে পদক্ষেপ তাও নিতে পারেনি। 

তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিশেষ করে ফরিদপুরে প্রশাসনিক ও বিভিন্ন সেক্টরে আগের মতোই বহাল রয়েছে অনিয়ম। একটি সিন্ডিকেটও ভাঙেনি, সঙ্গে অনিয়মও থেমে নেই, যা আপনারা সবাই অবগত আছেন। তাই আমি আমার নাম সরকারি গেজেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করলাম।’

শ্রাবণ হাসান নামে একজন ফেসবুকে লেখেন- সরকার যার বাবার কষ্টার্জিত পেনশনের টাকা ঠিকভাবে দিতে পারে না, জুলাই গেজেটে তার নাম থাকার কী দরকার। এমন ক্ষোভ থেকে নিজের নামটা প্রত্যাহার করে নিলেন ফরিদপুরের সাহসী ছেলে আবরাব নাদিম ইতু। ধিক্কার জানাই জুলাই চেতনাবাজদের, ধিক্কার ফরিদপুর জেলা প্রশাসনকে।

এ বিষয়ে আবরাব নাদিম ইতু যুগান্তরকে বলেন, আমরা যে উদ্দেশ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সেক্টরের অন্যায় অনিয়ম রোধ করতে চেয়েছিলাম, তা আগের মতোই রয়ে গেছে। তাই বিবেকের তাড়নায় স্বেচ্ছায় সরকারি গেজেট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলাম। 

তিনি বলেন, আমরা সরকারি ভাতার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করিনি, আমরা চেয়েছিলাম দেশ ভালো হোক, দেশের মানুষ ভালো হোক।  

আবেদনপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘স্বেচ্ছায় জুলাই সরকারি গেজেট থেকে এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদনটি আমরা হাতে পেয়েছি।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম