সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
বান্দরবান (দক্ষিণ) ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৩ পিএম
বিজিবি’র সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন। সংগৃহীত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য। কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সিএমএইচ, ঢাকা-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিজিবি জানায়, গত ১২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে নায়েক আক্তার হোসেন কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপি-তে অস্থায়ীভাবে সংযুক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওইদিন সকালে পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকায় টহলরত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত হন।
আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত সিএমএইচ, রামু সেনানিবাসে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন বিজিবি হেলিকপ্টারে করে সিএমএইচ, ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সকালে তার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়।
উপস্থিত চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত বিন সিরাজ (ইন্টেনসিভিস্ট বিশেষজ্ঞ)-এর তত্ত্বাবধানে টানা ৪৫ মিনিট ধরে সিপিআর (CPR) প্রদান করা হলেও তার হৃদ্স্পন্দন ফিরে আসেনি। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যুতে পুরো বাহিনী জুড়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, দেশের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা এক সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালাম। নায়েক আক্তার হোসেনের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বিজিবির এ কর্মকর্তা শোক প্রকাশ করে আরও বলেন, শহীদ নায়েক আক্তার হোসেন দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আত্মার মাগফেরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়াত নায়েক আক্তার হোসেনের মরদেহ পরবর্তীতে নিজ জেলা ভোলার দৌলতখানে দাফন করা হবে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায়।
