চুরির অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিক্ষকের দেওয়া মিথ্যা চুরির অপবাদ সইতে না পেরে নাটোরের সিংড়ায় আশিক হোসেন নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে সিংড়া থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মৃতের মা রানী বেগম। মামলায় একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিনকে আসামি করা হয়েছে।
মৃত আশিক হোসেন (৩০) আগমুরশন গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলার আগমুরশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কাম-দপ্তরি ছিলেন।
মামলার এজাহার ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার আগমুরশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন তার সুদের কিস্তির ঋণ পরিশোধের জন্য মেয়ের কানের দুল নিয়ে বিদ্যালয়ে যান। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় সেই দুল জোড়া নিজ ড্রয়ারে রাখেন এবং বিদ্যালয় ছুটি শেষে ভুল করে দুল রেখে বাড়ি চলে যান। পরে বিদ্যালয়ে ফিরে এসে দুল না পেয়ে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকদের অবগত করেন।
প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ডেকে নিয়ে চুরির অপবাদ দেওয়া হয় আশিককে। শনিবার (১ নভেম্বর) নৈশপ্রহরী স্থানীয় কলিয়া বাজারে গিয়ে লোকজনের মুখে চুরির অপবাদ শুনতে পেয়ে বাজারেই বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে বিকাল ৪টায় চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, সুদে নেওয়া কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য মেয়ের দুল বিদ্যালয়ের ড্রয়ারে ভুলে রেখে চলে আসেন। পরে গিয়ে সেখানে আর দুল খুঁজে পাননি। বিষয়টি তিনি প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের জানান। তাছাড়া ওই নৈশপ্রহরীকে ইতোপূর্বে চুরির দায়ে শোকজ করা হয়েছিল।
প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকের কিছু স্বর্ণ চুরি গেছে। বিষয়টি নৈশপ্রহরীকে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
সিংড়া থানার ওসি মমিনুজ্জামান বলেন, আত্মহত্যা প্ররোচনার দায়ে থানায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
