চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক যুবককে নারীকে দিয়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও চাঁদা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আরও একজন পলাতক রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী মো. সারেককে (২৮) গত ১ নভেম্বর বিকালে এক নারী (৩৪) কৌশলে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে নারীর সহযোগী মো. সাইফুদ্দিন ওরফে রুবেল (৩৩), মো. পারভেজ (৩৮) এবং পলাতক মো. পাবেল (২৫) মিলে সারেককে জোরপূর্বক রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে ও বিবস্ত্র করে। এরপর তাকে শর্টস পরিয়ে তার বিভিন্ন খোলামেলা ছবি ও ভিডিও ধারণ করে নির্যাতন চালিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

নির্যাতনের একপর্যায়ে বাদী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলে আসামিরা তাকে তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। পরে বাদীর মা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠান।

ঘটনার পর বিষয়টি থানায় জানালে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেনের তত্ত্বাবধানে ও থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম শিফাতুল মাজদারের নেতৃত্বে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালায়।

শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ডের দক্ষিণ নোয়াগাঁও এলাকায় রুবেলের বাড়ি থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন- মো. সাইফুদ্দিন প্রকাশ রুবেল (৩৩), মো.পারভেজ (৩৮), এক নারী (৩৪)। চতুর্থ আসামি মো. পাবেল (২৫) পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আসামি রুবেলের বিরুদ্ধে আগে ২টি মাদক মামলা ও ১টি হত্যাচেষ্টার মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আমরা দ্রুত ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছি এবং মূল তিন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। পলাতক আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।