রামেক হাসপাতালে ছাদের কার্নিশ ভেঙে শিশু আহত
চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালাকে দেখতে গিয়ে ভবনের ছাদের কার্নিশ ভেঙে আহত হয়েছে মিম্মা আক্তার (৪) নামের এক শিশুকন্যা। আহত শিশুটি বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে। সে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চক মোক্তারপুর গ্রামের মোহাম্মদ সামিউল হোসেন ও হাসি বেগমের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা থেকে মোহাম্মদ সামিউল হোসেন তার স্ত্রী হাসি বেগম তার ৪ বছরের মেয়ে মিম্মাকে নিয়ে চিকিৎসাধীন মিম্মার খালা আসমা বেগমকে দেখতে রামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগে যান। এ সময় হঠাৎ করে বিভাগের ছাদের কার্নিশের একটি অংশ ভেঙে শিশুটির মাথার উপর পড়ে। এতে শিশুটি মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ১টার দিকে মিম্মাকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করার নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ভবনটির কিছু অংশ অনেক পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সময়মতো মেরামত না করায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
মিম্মার বাবা মোহাম্মদ সামিউল হোসেন বলেন, মিম্মার খালাকে দেখতে এসে ভবনের ছাদের একটি কার্নিশ ভেঙে পড়ে মাথা কেটে যায়। এ ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিম্মার চিকিৎসা করছেন। তারাই সব খরচ বহন করছেন। আমাদের থাকার জন্য একটি ভালো ঘর (কেবিন) দিয়েছেন। এখন মেয়ে ভালো আছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, ছাদের কার্নিশ ভেঙে আহত হয় মিম্মা। তার চিকিৎসা চলমান আছে। তবে কেবিনে চিকিৎসার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এটি ওই ওয়ার্ডেরই একটি অংশ, কেবিন না।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহমেদ বলেন, আমাদের হাসপাতালটি অনেক পুরাতন। এটি রক্ষণাবেক্ষণ করেই চলতে হয়। ঘটনার পর আমার দ্রুত বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেছি। পাশাপাশি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছি। এখন সে ভালো আছে।
