মেহেরপুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে ১৯ মোটরসাইকেল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
মেহেরপর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মেহেরপুরের গাংনীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৯টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
অফিসের সাইনবোর্ড, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনকে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর গাংনী উপজেলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে ‘অপ্রত্যাশিত মনোনয়ন মানি না, মানবো না’ বলে স্লোগান দেয়।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ অফিসের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা আমজাদ হোসেনের অফিসের সামনে গিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। জবাবে আমজাদ হোসেনপন্থিরা পালটা ধাওয়া দিলে মিল্টনপন্থিরা সরে যান। পরে উত্তেজিত কর্মীরা মিল্টনের অফিসের কিছু অংশ ভাঙচুর করে আসবাবপত্র ও সাইনবোর্ডে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, নেতাকর্মীদের হাঙ্গামায় জড়াতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কেউ আমাদের ওপর হামলা করলে তা প্রতিহত করা হবে।
গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মাঠে রয়েছে।
