|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জুলাই আন্দোলনে শহীদ সোহাগ মিয়ার লাশ প্রায় ১৫ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য সোহাগের লাশ উত্তোলন করা হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মূশফিকীন নূরের তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. রুবেল রহমানের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
শহীদ সোহাগ মিয়া সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রহিছ উদ্দিন, ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তালুকদার, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফখরুল আলম চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অজিত কুমার রায়, শহীদ সোহাগের পিতা আবুল কালাম, ভাই শুভ মিয়া এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
শহীদ সোহাগের পিতা আবুল কালাম বলেন, আদালতের নির্দেশে আমার ছেলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আমি চাই, আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি হোক। জেলা প্রশাসক সশরীরে উপস্থিত থাকায় আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় সোহাগ মিয়াকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে এখন আইনগত প্রক্রিয়া অনুসারে লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে বিজয় মিছিল বের হয়। রাজধানী ঢাকার বাড্ডা এলাকায় সেই মিছিলে যোগ দেন গোলামীপুর গ্রামের মো. সোহাগ মিয়া (২৩) ও তার ছোট ভাই শুভ মিয়া (২১)। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সোহাগ। পরদিন ৬ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
