চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই কনস্টেবলকে গণধোলাই
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন সাদা পোশাকে থাকা রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার দুই পুলিশ সদস্য। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- দুর্গাপুর থানার জরুরি সেবা ‘ট্রিপল নাইনের’ ড্রাইভার ইমরান আলী ও থানার কম্পিউটার অপারেটর মাজেদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্যামপুর গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে সজীব আহমেদ (২৫) অনলাইন ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত- এমন অভিযোগে ওই দুই পুলিশ সদস্য সজীবের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন তারা।
বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে তারা দুইজনের পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির জেরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং স্থানীয়রা তাদের গণধোলাই দিয়ে আটক করে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরেকটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত কনস্টেবল ইমরান ও মাজেদ নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে সজীবকে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ দাবি করেন। তবে স্থানীয়রা তাদের কাছে আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হন, ফলে সন্দেহ আরও বাড়ে।
দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই তাদের উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে দুই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত কনস্টেবল ইমরান আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। আমি ওই ছেলেকে (সজীব) চিনি না। সেই আমাকে ডেকে নিয়ে গেছে, আমরা কাউকে গ্রেফতার করতে যাইনি।
