প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার কাহালুতে পারিবারিক বিরোধে সৎ ছেলে শামীম হোসেনের (২২) লাঠির আঘাতে মিলন ওরফে টাইগার মিলন (৩০) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার পালপাড়ায় পশু হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাতে তিনি হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ রাতেই শামীম ও তার মা মেঘনা বেগমকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে কাহালু থানার ওসি নিতাই চন্দ্র সরকার এ তথ্য দিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, নিহত মিলন ওরফে টাইগার মিলন বগুড়ার কাহালু উপজেলার পালপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি প্রায় নয় বছর আগে উপজেলার জামতলা গ্রামের চার সন্তানের মা মেঘনা বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর পালপাড়া এলাকায় পশু হাসপাতালের পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস শুরু করেন। একাধিক মামলার আসামি মিলন এক সপ্তাহ আগে জেল থেকে জামিনে বের হয়েছিলেন।
এদিকে মেঘনার প্রথম স্বামী নাজু মিয়ার ছেলে শামীম হোসেন তার সৎ বাবা মিলন ওরফে টাইগার মিলনকে মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকালে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে শামীম হোসেন বাঁশের লাঠি দিয়ে সৎ বাবা মিলনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।
প্রতিবেশিরা গুরুতর আহত মিলনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে কাহালু থানা পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে পালপাড়া থেকে মেঘনা বেগম ও বাবু বাড়ি এলাকা থেকে তার ছেলে শামীম হোসেনকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার সকালে কাহালু থানার ওসি নিতাই চন্দ্র সরকার জানান, নিহতের মরদেহ শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনায় মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শামীম তার সৎ বাবাকে লাঠির আঘাতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
