Logo
Logo
×

সারাদেশ

ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অটোচালক নিহত

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অটোচালক নিহত

রাজশাহীর মোহনপুরে এক অটোচালককে গলা কেটে হত্যা। প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর মোহনপুরে এক অটোচালককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহত অটোরিকসা চালকের নাম ফজলুর রহমান (৩৫)। তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের অমৃতপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। 

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছেন, শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট শিয়ালকোলা এলাকায় যাত্রীবেশি ছিনতাইকারীরা তার অটো রিকসাটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করে। 

শনিবার (৮ নভেম্বর)  রাত সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোহনপুর থানার এসআই মোদাশ্বের হোসেন খান জানান, অটোরিকসা  চালক ফজলুর রহমান রাজশাহী নগরীর আসাম কলোনীতে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। অটোরিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন । শনিবার সন্ধ্যার দিকে নগরী থেকে যাত্রীবেশি ছিনতাইকারীরা অটোটি ভাড়া নেয় মোহনপুরের কেশরহাট যাবে বলে। ছিনতাইকারীরা কেশরহাট থেকে কিছুটা দুরে শিয়ালকোলার দিকে যায়। এখানেই ছিনতাইকারীরা ফজলুর রহমানের অটো রিকসাটি ছিনতাই করার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা পেয়ে ছিনতাইকারীরা ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।  

গুরুতর আহত অবস্থায় ফজলুর রহমান অটোটি চালিয়ে কেশরহাট বাজার পর্যন্ত আসে। সেখানেই সে জ্ঞান হারায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানেই ফজলুর রহমান মারা যায়। 

মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, আহত হওয়ার পর ফজলুর রহমান অটোটি নিজেই চালিয়ে নিয়ে কেশরহাট পর্যন্ত আসেন। তখন সে কথা বলতে পারছিল। স্থানীয়দের সে জানায় তার অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। বাধা দিলে তাকে গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যাত্রীবেশি ছিনতাইকারীরা ফজলুর রহমানকে হত্যা করে অটোটি ছিনতাই করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ফজলুর রহমান স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে আসাল কলোনী এলাকায় বসবাস করতেন। ফজলুর রহমানের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে হত্যা মামলা রুজু করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম