|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যশোরের শার্শা ও বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়, আর বর্তমানে সেই পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কিছু পাড়া-মহল্লার দোকানে দাম আরও চড়া, সেখানে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে, আর বাজারে নেমেছে তীব্র অস্থিরতা।
রোববার নাভারণ, বাগআঁচড়া, শার্শা ও বেনাপোল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি থেকে খুচরা, সব স্তরেই একই চিত্র। বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারেই দাম বেড়ে গেছে, ফলে খুচরা পর্যায়ে দাম কমানোর সুযোগ নেই। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, এই আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি তাদের মাসিক বাজেটে বড় ধরনের ধাক্কা দিচ্ছে।
লক্ষণপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, নতুন পেঁয়াজ এখনো বাজারে উঠেনি, পুরনো পেঁয়াজের মজুদও কমে এসেছে। এই সুযোগেই মজুতকারীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বলেন, সরবরাহে খুব ঘাটতি নেই, কিন্তু দাম বাড়ানো হচ্ছে চালাকির মতো করে। এতে স্বাভাবিক বিক্রিও কমে গেছে।
বেনাপোল বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী জানান, বছরের এই সময়ে সাধারণত ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ওপর বাজার নির্ভর থাকে। বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম এবং চাহিদা বেশি হওয়ায় বাজার চাপের মধ্যে পড়েছে। তার আশঙ্কা, ‘এই ধারা চললে রমজানের সময় দেশি পেঁয়াজের দাম ২শ টাকায় পৌঁছাতে পারে।’
খুচরা ক্রেতা আব্দুল জব্বার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চার দিন আগেও ৭০ টাকায় কিনেছি। আজ ১১০ টাকায়ও ছাড় নেই। প্রতিদিন বাজারে গেলে একটা নতুন ধাক্কা। তার সঙ্গে থাকা আরেক ক্রেতা শ্রাবণী রায় বলেন, এখানে কোনো পণ্যের দামই স্থির থাকে না। মানুষকে জিম্মি করে বাজার চলছে।
শার্শা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী তামিম বলেন, পাইকারি বাজার থেকে ৯৫ থেকে ১শ টাকায় আনতে হচ্ছে। পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করে ১১০ থেকে ১২০ টাকা ছাড়া বিক্রি করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, দাম বাড়লে বিক্রি কমে যায়, লাভের বদলে ক্ষতির ভয়।
বেনাপোল বাজার কমিটির সভাপতি আবু তালেব বলেন, বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। নতুন দেশি পেঁয়াজ আসতে এখনো সময় আছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছেই। নতুন পেঁয়াজ উঠলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।
