Logo
Logo
×

সারাদেশ

বরগুনায় তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

বরগুনায় তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা

স্ত্রীকে তালাক দিয়ে গোপন রেখে মিলন করার অভিযোগ এনে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

রোববার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন বরগুনার ডিবি গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।

মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার পূর্ব সফিপুর গ্রামের মো. মজিবুর রহমানের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান অপু (২৬), অপুর মা তাজনেহার বেগম (৫৫) ও বাবা মো. মজিবুর রহমান।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।

মামলা সূত্রে জানা যায়, একই উপজেলার ভুক্তভোগী বাদী ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন, আসামি অপুর সঙ্গে বাদীর এ বছরের ৭ মার্চ রেজিস্ট্রি  কাবিনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসার ভালোই চলছিল। হঠাৎ করে আসামি অপু এ মাসের ২ নভেম্বর বাদীর ফোনের মেসেঞ্জারে তালাকের একটি কপি পাঠায়।

বাদী বলেন, অপুর সঙ্গে এ বছরের ২৩ অক্টোবর হতে ২৫ অক্টোবর একত্রে স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঢাকা ও বরিশালে থাকি। এছাড়া নভেম্বর মাসের ১ তারিখ রাতে অপু আমার বাবার বাড়িতে আসে। একরাত থাকার পরে অপু চলে যায়।

বাদী আরও বলেন, অপু আমাকে যে তালাকের নোটিশ পাঠায় সেই নোটিশে দেখা যায় এ বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর আমাকে তালাক দিয়েছে। অথচ ২৩ অক্টোবর হতে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় অপু তালাক গোপন রেখে আমাকে ধর্ষণ করে ২ নভেম্বর রাতে আমার ফোনের মেসেঞ্জারে তালাকের নোটিশ পাঠিয়ে দেয়। তখন জানতে পারি অপু আমাকে এ বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তালাক দিয়েছে। আমি জানতাম অপু আমার স্বামী। অপু জানতেন আমি তার স্ত্রী নই। তারপরও অপু তালাক গোপন রেখে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।

অপুর ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম