Logo
Logo
×

সারাদেশ

বগুড়ায় কাঠমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম

বগুড়ায় কাঠমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়ার গাবতলীতে খামারের মুরগি চুরি করা নিয়ে বিরোধের জেরে তরিকুল ইসলাম ভুট্টো (৪৫) নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় হামলাকারী পক্ষের স্বাধীন প্রামাণিককে (২০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার দূর্গাহাটা ইউনিয়নের কিত্তনীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বাধীনকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসক বলেছেন, গলা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানোর কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সোমবার দুপুরে গাবতলী থানার ওসি সেরাজুল হক জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত তরিকুল ইসলাম ভুট্টো বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দূর্গাহাটা ইউনিয়নের কিত্তনীয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন সাজুর ছেলে। স্বাধীন প্রামাণিক একই গ্রামের সাহেদ প্রামাণিকের ছেলে। গত মে মাসে নিহত ভুট্টোর মামাতো ভাই জহুরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলামের খামার থেকে প্রায় ৪২টি ব্রয়লার মুরগি চুরি হয়। এজন্য স্বাধীন প্রামাণিক ও তার সহযোগীদের দায়ী করা হয়। এ নিয়ে দুপক্ষের  মধ্যে মামলা ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ওই বিরোধের জেরে সম্প্রতি স্বাধীন ও তার সহযোগীরা খামার মালিক খায়রুল ও তার দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করে।

এর ধারাবাহিকতায় রোববার বিকালে খায়রুল ও তার লোকজন স্বাধীনকে পেয়ে কুপিয়ে আহত করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভুট্টো দূর্গাহাটার রামচন্দ্রপুর বাজার থেকে রিকশাভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কিত্তনীয়া বাজারে পৌঁছলে স্বাধীনের লোকজন ধারাল অস্ত্র দিয়ে ভুট্টোকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পাশের সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত প্রতিপক্ষের স্বাধীন প্রামাণিককে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাবতলী থানার ওসি সেরাজুল হক জানান, নিহত ভুট্টোর মরদেহ সোমবার সকালে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে এ খবর পাঠানোর সময় গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত ভুট্টোর স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম