রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি গঠন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

১৬ সদস্যের ওই কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এর ১নং সদস্য রাহেল মাহমুদ ও ৫নং সদস্য জীবন মণ্ডল তাদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ফেসবুকে পৃথক পোস্ট দেন।

পোস্টে তারা দাবি করেন, এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কেউ কোনো ধরনের আলোচনা করেননি। দলের সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। বিষয়টি আমাদের গোচরে আসার পর আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে কমিটি হতে নাম বাদ দিতে প্রধান সমন্বয়ক ও অন্যান্য সমন্বয়কদের অনুরোধ জানিয়েছি।

রোববার রাত ৯টার দিকে জীবন মণ্ডল তার ফেসবুক আইডিতে এ ধরনের একটি প্রতিবাদমূলক লেখা শেয়ার করার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর আগে রাহেল মাহমুদ একই ধরনের পোস্ট দিয়ে তার অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে প্রতিবাদ জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষর করে এ কমিটির অনুমোদন দেন।

অনুমোদিত কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট এসএম সিরাজুল ইসলামকে।

যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন- মাহমুদুল হাসান (রাকিব), মো. ফরিদ মোল্লা, রুহুল আমিন, মো. নাজমুল ইসলাম ও মেহেদী নুর হেলাল।

কমিটির সদস্যরা হলেন- রাহেল মাহমুদ, আতিক হাসান, আশরাফুল ইসলাম (তানভির), মো. আব্দুল আজিজ, জীবন কুমার মণ্ডল, ইব্রাহিম হোসেন রাসেল, মোক্তাদির সবুর, সাইফুল হাসান সজীব, সুমন শেখ ও মো. শাহজাহান (লালটু)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট এসএম সিরাজুল ইসলাম দাবি করে বলেন, তাদের দুজনের সঙ্গে আলোচনা করেই নাম দেওয়া হয়েছিল। তবে থাকতে না চাইলে তাদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।