ছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন
রাজশাহী ব্যুরো ও গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দশম শ্রেণিপড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের মামলায় আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন নাটোরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ধর্ষণের অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ওই ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে আরও ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত ব্যক্তির নাম ফিরোজ আহমেদ। তিনি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীকে বেশি নাম্বার দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে যান প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ। তাকে নিয়ে রাজশাহীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। পরদিন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় শিক্ষক ফিরোজ আহমেদসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। পুলিশ তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে নাটোরের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ গঠনের সময় বিচারক দুজনকে অব্যাহতি দেন। পরবর্তীতে দ্রুত বিচারের জন্য মামলাটি রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সমস্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা সন্তুষ্ট।
তবে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় রায় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ফিরোজ আহমেদ। তিনি বলতে থাকেন, মামলাটি সঠিক নয়। তিনি ন্যায়বিচার পাননি।
