লকডাউন ডেকে মাঠে নেই আওয়ামী লীগ, নেতারা আত্মগোপনে
গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনে মাঠে নেই শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার আওয়ামী লীগ। আত্মগোপনে রয়েছেন নেতারা। রাস্তায় দূরপাল্লার যানবাহনের পরিমাণ কম হলেও তিনচাকার পরিবহণ চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
লকডাউন সমর্থনে মাঠে দেখা মেলেনি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীর। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
তবে উপজেলার সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের নজরদারি ছিল। সতর্ক অবস্থায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলায় এমনই চিত্র দেখা যায়।
উপজেলা পৌর শহরের দোকানপাট, হোটেল, রেস্তোরাঁ ছিল খোলা। শহরের ভেতরে সড়কগুলোতে ছিল প্রতিদিনের মতোই যানবাহনের চাপ।
দাশের জঙ্গল বাজার ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, লকডাউন ডাকা অবরোধে গোসাইরহাটে কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রতিদিনের মতই সব প্রকার যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। ব্যাংক-বিমা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ছিল প্রতিদিনের মতো। দোকানপাট ও বাজার ছিল খোলা।
পৌর বাসস্ট্যান্ডের অটোচালক আব্দুল জানান, গোসাইরহাটে কোনো অবরোধ পালন হতে দেখা যায়নি। নিত্যদিনের মতো স্থানীয় যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। কাঁচাবাজারসহ সব প্রকার পণ্যের বেচাকেনা ছিল স্বাভাবিক।
নাগেরপাড়া বাজারের মুদি দোকানী সাইফুল জানান, গোসাইরহাটে লকডাউনের কোনো ছাপ দেখা যায়নি। মানুষজন রাস্তায় স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে দেখা গেছে। স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা খোলা ছিল।
উপজেলার কুচাইপট্টির বাসিন্দা মোকসেদুর রহিম বলেন, সারা দেশে লকডাউন শুনেছি, কিন্তু সবই ছিল সচল। সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। বিভিন্ন বাজারের দোকানপাটও খোলা ছিল।
কোদালপুর ইউনিয়নের থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখাতে আসা রোকসানা বেগম বলেন, আমি ডাক্তার দেখাতে এসেছি। শিশুকে সঙ্গে নিয়ে অটোগাড়িতে এসেছি। শুনেছি লকডাউন, কিন্তু সবইতো চলছে। আমিতো লকডাউনের কিছুই দেখছি না, আমার মতো সবাই তাদের কাজে বের হয়েছে।
এদিকে লকডাউনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে দাশের জঙ্গল বাজারে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা এবং মোটরসাইকেল বহর করতে দেখা গেছে উপজেলা বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের।
উপজেলা বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি মানুষ মেনে নেয়নি। প্রতিদিনের মতো সকলে তাদের কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ যদি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে।
গোসাইরহাট থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, গোসাইরহাট থানাধীন এলাকার যেকোনো ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হলেও কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
