বগুড়ার শেরপুরের পর ধুনটের গোসাইবাড়ি বাজারে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের বারান্দায় থাকা ব্যানারে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। এতে ব্যানারটি পুড়ে গেছে ও কয়েকটি চেয়ার ও বেঞ্চ কালো হয়ে গেছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলামের ধারণা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাশকতার চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে।

গ্রামীণ ব্যাংক বগুড়ার ধুনটের গোসাইবাড়ি শাখার নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম জানান, রোববার রাত ৩টার দিকে ব্যাংকের বাহিরে শব্দ শুনতে পান। তিনি টর্চলাইট হাতে বের হয়ে দেখতে পান, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের বাহিরে প্লাস্টিকের বোতলে তৈরি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে। আগুনে ব্যাংকের প্রধান গেটের ভেতরে থাকা একটি ব্যানার, একটি চেয়ার ও একটি বেঞ্চ পুড়ে যায়। আগুন দেওয়ার পরপরই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত নাশকতা। রাজনৈতিক উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করা হয়েছে। বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যবস্থাপক তার প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সোমবার দুপুরে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ি শাখায় কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে ব্যাংক থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তার ধারণা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রায়কে সামনে রেখে ও আওয়ামী লীগের শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই রাজনৈতিক দলের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

এর আগে বগুড়ার শেরপুরের গাড়িদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা অফিসের বাহিরের গেটে নেমপ্লেটে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। শনিবার গভীর রাতের এ ঘটনায় সাইনবোর্ডে সামান্য কালো দাগ হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দুই দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে আগুন ধরিয়ে দেয়; কিন্তু কুয়াশার কারণে তাদের চেহারা বোঝা যায়নি।